সন্তান যখন ডাক্তার হলো
গ্রাম্য এক লোক জায়গা-জমি বিক্রি করে ছেলেকে ডাক্তার বানিয়েছে। ছেলেকে ডাক্তার বানাতে গিয়ে সে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণও করেছে। মোটা অংকের ঋণী হয়েছেন তিনি। এই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ঋণদাতারা তার ঘর-বাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
এই দিকে ছেলে ডাক্তার হয়ে আরেক ডাক্তার মেয়েকে বিবাহ করে অনেক সুখ-শান্তিতেই দিন-রাত পার করছে। এদিকে থেকে পিতা-মাতার কোনো খোঁজ-খবর নেয়ার সময়ও তার কপালে জুটছে না। একসময় পিতা বাধ্য হয়ে ফকিরের মতো ছেলের কাছে গিয়ে বললো, বাবা! তুমি তো সবই জানো, তোমাকে পড়ালেখা করাতে গিয়ে আমি আমার সকল সম্পদ শেষ করে ঋণী হয়ে গেছি। এখন এই ঋণগুলো পরিশোধ না করলে তারা আমার ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালার জন্য তুমি আমার ঋণগুলো পরিশোধ করে দাও। ছেলে জবাব দিলো, বেশি বাড়াবাড়ি করলে মাসে মাসে যে টাকা দেই এটা দেওয়াও বন্ধ করে দিবো।
আহ! পিতা যেই সন্তানের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছে, নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে, আজ সেই সন্তান পিতার সাথে এমন ব্যবহার করছে!
এই ঘটনায় আমাদের জন্য মূল্যবান নাসিহা রয়েছে। শুধু লেখাপড়া করালেই সন্তান মানুষ হয় না। আপনি যদি আপনার সন্তানকে দ্বীন শেখান, তাকে এমন প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করান যেখানে ধর্মীয় শিক্ষাও দেয়া হয়, শিক্ষার সাথে দীক্ষাও দেয়া হয়, সে আপনাকে কোটি টাকা না দিতে পারলেও অন্ততঃ আপনাকে কষ্টতো দিবে না। আপনার পথের কাঁটা হবে না। আপনাকে বাবা বলে পরিচয় দিতে কোনোরকম কুন্ঠাবোধ করবে না। আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।
সন্তানকে যা-ই বানান প্রথমে তাকে দ্বীন শেখান। তাহলে সে মানুষ হবে। দুনিয়া ও আখিরাতে উপকারে আসবে।
Reviews
There are no reviews yet.