বিস্মৃতির অন্তরালে

320.00

সাল ২০০১। এক গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইয়েমেন থেকে আফগানিস্তানে যান ১৮ বছর বয়সী মানসূর আদাইফি। কিন্তু আর ফেরা হয় না তার। অপহরণের পর আফগান ওয়ারলর্ডরা তাকে বিক্রি করে দেয় অ্যামেরিকার কাছে। তারপর তিনি উধাও হয়ে যান গুয়ান্তানামোর অন্ধকূপে। পরের দেড় যুগ স্রেফ অদৃশ্য হয়ে যায় মানসূর পরিচয়টা। তিনি পরিণত... আরও দেখুন

Add to Cart

বিস্মৃতির অন্তরালে 320.00

সাল ২০০১। এক গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইয়েমেন থেকে আফগানিস্তানে যান ১৮ বছর বয়সী মানসূর আদাইফি। কিন্তু আর ফেরা হয় না তার। অপহরণের পর আফগান ওয়ারলর্ডরা তাকে বিক্রি করে দেয় অ্যামেরিকার কাছে। তারপর তিনি উধাও হয়ে যান গুয়ান্তানামোর অন্ধকূপে। পরের দেড় যুগ স্রেফ অদৃশ্য হয়ে যায় মানসূর পরিচয়টা। তিনি পরিণত হন বন্দী নং ৪৪১-এ।

“বিস্মৃতির অন্তরালে” গুয়ান্তানামোতে বন্দী এক নির্দোষ মানুষের গল্প। যন্ত্রণা, নির্যাতন আর গভীর বিষাদের নিচে বিধ্বস্ত হবার গল্প। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগার আর এর অন্ধকারের বিরুদ্ধে যুঝতে থাকা এক তরুণের গল্প। এ বই আপনাকে নিয়ে যাবে গুয়ান্তানামোর বিভীষিকাময় ল্যান্ডস্কেইপে। দক্ষ গাইডের মতো মানসূর আপনাকে চিনিয়ে দেবেন এ কারাগারের নাড়িনক্ষত্র। জানতে পারবেন নিয়মিত নিষ্ঠুরতা আর সংগঠিত পৈশাচিকতার গা শিউরে ওঠা সব ঘটনা।

সেই সাথে জানবেন তীব্র প্রতিরোধ, অদম্য মনোবল আর আল্লাহর উপর অটল বিশ্বাসের কিছু গল্পও। এ গল্প নির্যাতন আর অপমানের। কিন্তু একইসাথে এ গল্প জীবনের, আশার ও দৃঢ়তার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এ গল্প আসলে ঈমানের। এ বইটি যেমন মানবচরিত্রের সবচেয়ে অন্ধকার দিকটি আপনার সামনে তুলে ধরবে।

ঠিক একইসাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে রাজকন্যা ইগুয়ানা, ভ্যাটকানো বান্দর, ‘সন্ত্রাসী মারিও’, ক্ষুধা জ্বিন আর রক্তচক্ষুদের সাথে। এক মুহূর্তের জন্য হলেও আপনি নিজেকে আবিষ্কার করবেন সলিটারি কনফাইনমেন্টের হিমশীতল মেঝেতে, তার ঠিক পরেই কল্পনায় ছুটে যাবেন দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের নীল থেকে গভীর নীলের দিকে। এ বই আপনাকে কাঁদাবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু হাসাবেও। আল্লাহর উপর, সত্য ও সুন্দরের উপর মজবুত করবে আপনার বিশ্বাসকে। আমরা নিশ্চিত, বইটি পড়া শেষ হলে আপনিও বলবেন –

বাস্তবতা কখনো কখনো কল্পনাকেও হার মানায়…

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বিস্মৃতির অন্তরালে”

Your email address will not be published. Required fields are marked *