মানুষ গল্পপ্রিয়। এটা মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। গল্প পড়তে ভালোবাসে। শুনতে ভালোলাগে। বয়ান বক্তৃতায় যদি থাকে গল্পের রস তাহলে তো কথাই নেই! সকল শ্রোতা নড়ে-চড়ে বসে। একেবারে মজে যায়। হারিয়ে যায় গল্পের মাঝে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, বিষয়বস্তুকে শ্রোতামন্ডলীর অন্তরে গভীরভাবে চিত্রাঙ্কন ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ব্যাপারে গল্পময় নসিহত ও কাহিনীর অবতারণার কোনো বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে কারিমে ইরশাদ করেন-
لَقَدْ كَانَ فِى قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِأُوْلِى الْاَلْبَابِ
‘নিশ্চয় তাদের ঘটনাসমূহে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়।’
এ কারণেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পবিত্র কুরআনে কারিমের বিভিন্ন জায়গায় পূর্বেকার নবি-রাসুলগণসহ নেককার-বদকার, কাফের-মুশরিক সকলের ঘটনা-উপাখ্যানই তুলে ধরেছেন। যাতে করে আমরা তাদের সে ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। সে সকল ঘটনা-কাহিনী আমাদের হৃদয়কে সুসংহত করে।
ঘটনা তা যেমনই হোক; মানুষের হৃদয়ে তা ভিন্ন রকম প্রভাব বিস্তার করে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَكُلًّا نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ اَنْبِيَاءِ الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِ فُؤَادَكَ
‘আর আমি রাসুলগণের সব ঘটনাসমূহ আপনার কাছে বর্ণনা করেছি যাতে আপনি আপনার মনকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করতে পারেন।’
শায়খুল হাদিস আল্লামা যাকারিয়া রহ. বলেন-
حكايت وتمثيلات دينى ترقى كا سبب هو تى هے
‘ঘটনাবলি ও কাহিনী হলো দীনি উন্নতির পাথেয়’
এ থেকে বুঝা যায় যে, গল্প-কাহিনী মানবহৃদয়কে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করে। নবি-রাসুলগণ, সাহাবি-আজমাইন, তাবে-তাবেইন, অলি-বুযুর্গদের ঘটনা অন্তরে আল্লাহর ইশক ও মহব্বতের আগুন জ্বেলে দেয়। আমলি যিন্দেগি গড়তে সহায়ক হয়।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে এ ধরনেরই গল্পগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে; যা আমাদের ঈমান ও আমলকে মজবুত করবে। ইনশাআল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.