বড় বেদনাবিধূর সময়ে লিখতে বসেছিলাম। বাতাসে তখনো লাশের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছিল। পিচঢালা কালো রাস্তায় রক্তের লাল লাল ছোপ শহীদদের আত্মত্যাগের স্বাক্ষী দিচ্ছিল। প্রায় সহস্র কিশোর-তরুণ প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে আমরা পেলাম দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ, আলহামদুলিল্লাহ। তাই তো স্বাধীনতার পূর্বে লেখা ‘সম্পাদকীয়’ পুনরায় সম্পাদনা করতে হচ্ছে।
‘যোলো’ সপ্তম সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল আগস্টের এক তারিখে। কিন্তু ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের কারণে তা সম্ভব হলো না। যাদের জন্য এই ‘যোলো’, তারাই কিনা বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হলো, হলো রক্তে রঞ্জিত। এমন আহত সময়ে কী করে ম্যাগাজিন প্রকাশ করি, বলো! যদিওবা এই অন্ধকার রক্তিম প্রহরগুলোর পরপরই বাংলার পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছিল বিজয়ের শুভ্র রেখা; অবশেষে যা অষ্টপ্রহরে ধরা দিল ৫-ই আগস্ট তথা ৩৬ শে জুলাই।
যাদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম, তাঁদের মধ্যে অল্প কয়েকজনের হৃদয়স্পর্শী গল্প ছাপা হয়েছে এ সংখ্যায়। গল্পগুলো হয়তো অনলাইনে আগেও পড়েছ। আবার পড়ো। শহীদদের আত্মত্যাগকে অন্তরে গেঁথে নিয়ে শপথ করো-নতুন বাংলাদেশকে তোমরা একটি ইনসাফের রাষ্ট্র বানাতে ভূমিকা রাখবে।
গেইমিং, হারাম প্রেম-ভালোবাসা, মাদকাসক্তিসহ সকল প্রকার গুনাহ, অনিয়ম আর দুর্নীতি থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে তোমরা। এখনই প্রতিজ্ঞা করো। তুমি কথা না রাখলে হেরে যাবে সহস্র শহীদের রক্ত, হেরে যাবে বাংলাদেশ ২.০।
Reviews
There are no reviews yet.