বয়ঃসন্ধিকাল!
অদ্ভুত এই বয়স! অনেকগুলো ফ্যাক্টরের সাথে বোঝাপড়া করতে হয় একটা ছেলেকে এই সময়। বড়রা তেমন কাছে টানে না, একটু দূরে সরিয়ে রাখে। শরীরে পরিবর্তন আসে, পরিবর্তন আসে হৃদয়েও। এমন অনেক অনুভূতির ঝাঁপি খুলে যায়, যা আগে বন্ধ ছিল। পৃথিবীটা দুর্নিবার আকর্ষণে বাহিরে টানে। আবার অজানা এক ভয়, শঙ্কাও কাজ করে। অসংখ্য এবং বিপরীতমুখী অনুভূতিগুলোর মাঝে পড়ে ছেলে-মেয়েরা এই সময় দিশেহারা হয়ে যায়। ভুল করে। এই বয়সটাই তো ভুল করার।
নিজের এবং বিপরীত লিঙ্গের শরীর, বাহিরের পৃথিবী নিয়ে অসীম কৌতূহলী মনে একঝাঁক প্রশ্ন ঘুরাফেরা করে। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন না বড়রা, যাদের এগিয়ে আসা উচিত ছিল। বয়ঃসন্ধিকালের জটিলতা নিয়ে কিশোররা যতটা নাজেহাল হয়, কিশোরীরা তেমন হয় না। মা, বড়বোন বা অন্য কোনো নিকটাত্মীয়দের ঠিকই পাশে পায় তারা। কিন্তু কিশোরদের পাশে তেমন কেউ এসে দাঁড়ায় না। কিশোরমন তখন উত্তর খুঁজে বেড়ায় ইঁচড়ে পাকা বন্ধুদের কাছে, ইন্টারনেটে। অধঃপতনের ব্যাকরণ লেখা শুরু হয় ঠিক তখন থেকেই। শুধু সেই কিশোর বালকের না, অধঃপতনের ব্যাকরণ লেখা শুরু হয় একটা সমাজ, একটা দেশেরও।
বলা হয়ে থাকে, ১২-১৩ বছরের ছেলেদের মতো এমন বালাই আর নেই। এরা হলো পথের প্রভুহীন কুকুরের মতো। অনেকাংশেই সত্য। এই অবহেলা, উপেক্ষা, অনাদরে ঘরের এককোণে নিজের শরীর, সমাজ আর পৃথিবীটাকে নিয়ে সঙ্কোচ, দ্বিধায় ভোগা, হাজারো ভুল করা কিশোর-কিশোরীদের কাঁধে হাত রাখতে এগিয়ে এসেছেন কিছু মহৎপ্রাণ মানুষ। ‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’ ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তাঁরা বেশ কয়েকবছর ধরেই বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেবার চেষ্টা করছেন। উপেক্ষার শিকার বাংলাভাষী এই কিশোর-কিশোরীদের জন্য তাঁদেরই একটি প্রচেষ্টা এই ‘ষোলো’ ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনটি থেকে ইনশাআল্লাহ বাংলাভাষী ‘ষোলো’রা অনেক উপকৃত হবে। তারা জীবনের ভুলগুলো চিনতে এবং সেগুলো শুধরে নেবার অনুপ্রেরণা, শক্তি, সাহস পাবে।
Reviews
There are no reviews yet.