1984 (হার্ডকভার)

250.00

এপ্রিলের উজ্জ্বল ঠান্ডা দিন। ঘড়িরা একটার কাঁটায় ঘণ্টা পেটাচ্ছে। থুতুনিটা বুকের ওপর ঠেসে ধরে হিম হাওয়ার কবল থেকে মুখটাকে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে ভিক্টরি ম্যানসন্সের কাচের দরজা ঠেলে ঢুকল উইনস্টন স্মিথ। এরই ফাঁকে গাদাখানেক ধূলিও ঘূর্ণি খেয়ে ঢুকে পড়ল। চটজলদি ঢুকেও ওদের আটকাতে পারল না উইনস্টন।হলওয়েতে ঢুকেই নাক ভরে... আরও দেখুন

Add to Cart

1984 (হার্ডকভার) 250.00

এপ্রিলের উজ্জ্বল ঠান্ডা দিন। ঘড়িরা একটার কাঁটায় ঘণ্টা পেটাচ্ছে। থুতুনিটা বুকের ওপর ঠেসে ধরে হিম হাওয়ার কবল থেকে মুখটাকে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে ভিক্টরি ম্যানসন্সের কাচের দরজা ঠেলে ঢুকল উইনস্টন স্মিথ। এরই ফাঁকে গাদাখানেক ধূলিও ঘূর্ণি খেয়ে ঢুকে পড়ল। চটজলদি ঢুকেও ওদের আটকাতে পারল না উইনস্টন।
হলওয়েতে ঢুকেই নাক ভরে গেল সিদ্ধ বাঁধাকপি আর ছাতরাপড়া পুরনো মাদুরের গন্ধে। একদিকের দেয়ালে বেঢপ একটা রঙিন পোস্টার সাঁটা। তাতে এক মিটারের বেশি প্রশস্ত আরও বেঢপ আকারের একটি মানব চেহারা।
৪৫ বছর বয়স হতে পারে এমন একটি পুরুষের মুখ। বড় কালো গোঁফে দশাসই লাগছে। লিফটের চেষ্টা বৃথা, তাই সিঁড়ির দিকেই পা বাড়াল উইনস্টন। খুব প্রয়োজনেও কদাচই কাজ করে লিফট। আর এখন তো দিনের আলোয় বিদ্যুতের লাইন কাটা। মূলত ‘ঘৃণা সপ্তাহ’র অর্থনৈতিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়। সাত তলায় ফ্ল্যাট। ৩৯-এ পা ফেলে আর ডান গোঁড়ালিও ওপরে কুষ্ঠের ঘা নিয়ে একটু ধীরে ধীরেই সিঁড়ি ভাঙতে হচ্ছে উইনস্টনকে। একটু পর পর জিরিয়েও নিচ্ছে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “1984 (হার্ডকভার)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *